সে আমার অতঃপরে নেমে আসা গৌণ বয়স সে তোমার অল্প জলে ডুবে থাকা ঘরের জামা যে তোমার গর্ভাকারে ঢুকে ফের বেরুচ্ছিল , সে জানে ঠিক কতটা উপশম কার...

আমারও মাথায় ছিল তিন আঁটি ধান লাল সরু-পাড় ঘরমুখী পথে নূপুরের দিশা জলধারা আর উলুধ্বনি.... নীল বিছানায় খিদে পেয়ে জেগে ওঠা শিশু চাঁদমুখ এই...

স্মৃতি টুনটুনি বিকাশ সরকার কেউ তো বলেনি কখনও টুনটুনি এত হিংস্র জিঘাংসা জর্জর হতে পারে সে আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে রাখে মরণের পাড়ে...

ভবঘুরে এ জীবন কাটাকুটি খেলা কিছুদিন অপার নিয়তি কল্পতরু আসঙ্গের সুখ উলঙ্গ বধির হয়ে সোমরস পান হিরণ্যগর্ভের দাহ বিবরের কথা ছিটকে পালাতে...

আর ফেরা হয় না সেইসব দিনে- সেই উঠোন, যাত্রাপালার সন্ধে, প্রাইমারি স্কুল... যাবতীয় সব অতীতের কাছে জমা থেকে যায় একা একা ওপার থেকে এপার...

এখন আমি নিজে লিখি লবি করি কবে আমায় দিয়ে অন্য কেউ লিখিয়ে নেবে ঈশ্বরের মতো করেই তাকে কলমের কালি খেতে ডাকি জেগে থাকার মতো ঘুমিয়ে আছি এবং...

আমার যতটুকু চরাচর লিখি, মুছি, লিখি... যত্ন দিয়ে যতদূর-- যন্ত্রণা ফেরত আছে ফিরতি পথে তাই বৃষ্টি পড়ছে বাঁশগাছে জল ঢুকছে হু হু বাড়ি কি...

আজকাল কিছু বিশেষণ পাকাপাকি ব্যবস্থা করে নিচ্ছে কাগজে দেওয়ালে অসন্তোষের আগে চাপা, জাতীয়তাবাদের আগে উগ্র, নকশালের আগে আর্বান। গোলাম...

গাছের কথা ভাবি আজকাল পাখিরা খুব কাছে চলে আসে ক্রমশ কি গাছ হয়ে উঠছি তবে? নাকি এই ঘর এককালে ছিল এক দীর্ঘদেহী গাছ প্রজন্মের স্মৃতি সেই ডালে...

আমার শোকের রাত টলোমলো আমি তাকে ঝরে যেতে দিই চিত্রা নক্ষত্রে। যত লিখি শূন্যতা বাড়ে ফসলের মাঠ দিগন্ত ছড়ায় এইসব লেখালেখি নিয়ে নীল খাম...

অপেক্ষার অধ্যায় ক্ষয়ে যাওয়া মুহূর্তের পাশে একটা প্রজাপতি এসে বসলে অনুভূতির আয়ু ক্ষরণ হয় যতটা সম্ভব তামাটে দুপুরের দিকে সরিয়ে দিই...

১. এইভাবে একদিন সব পুড়ে যাবে। সব ঘাট, কাঠ পুড়ে ছাই হবে শব। তারপর কোনো নদী বেয়ে, পথ বেয়ে কিছু মানুষ ভিড় করবে ঘাটে। কত একহারা-দোহারা...

টেথিসে সংকোচ লাগে হৃৎপিন্ডে চাঁদ উঠলে বাড়তি চর্বি-পেশি ঘিরে ধরে পরশ আঙুল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া তীর ভাসতে দেখলে জাগে না মাঝি হাওয়া বরং ডুবে...

বসন্ত কি খোল করতাল নিয়ে ঝিনিক ঝিনিক ভোজপুরী গান গাওয়া... বসন্ত কি উদ্দাম নাচ-নাচন নেশার ঘোরে ঘুরছে ঘূর্ণি হাওয়া... বসন্ত তো...

আত্মহত্যা বিষয়ক নিবন্ধে গণৎকার শেষ পাতায় সই করছেন। লালনের পদ, আর পদের লালন - এই মিলন মহান অধ্যাবসায় নিয়ে আমি ব্যবচ্ছেদ টেবিলে দেখেছি...

১। বরফের কঠিন আবরণ ভেঙে ভেঙে একটা ভঙ্গুর জলযান ছুটে চলে মগজের মাঝ-বরাবর। তার চাকার ঘর্ষণে বহুকালের জীর্ণ ঘরবাড়ি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পেছনে...

বনেদি বাড়ির মতো দেবতার ঠায় দেখেছি পাখির দেহ অসম্ভবতায় পাখির কুলের দিকে উড়ে চলে গেল… মেলো, হে, তোমার মুখ, পড়ে ফেল জেনও। জেনের অনেক...

সকলে তেমন ক’রে আকাশ দেখতে পারে না। কেউ কেউ দেখে সন্ধ্যেগড়ানো শাঁখে আকাশপ্রদীপে শোক গাঢ় হয়ে এল। অনেক নক্ষত্র থেকে যারা আলোজল নিতে এসেছিল,...

ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কিভাবে বললে সত্যিই ভালো থাকা যায়? রাত্রি লন্ডভন্ড, সূর্যমুখীর ক্ষেতে তোমার বুটের ছাপ— এগিয়েছে নানা দিকে। আমি দৌড়াচ্ছি কাদা...

যে ছেলের নিজের গোড়ালির ময়লার দিকেও ফিরে তাকাবার সময় নেই, যে মেয়েটা অপরা তড়িতের মতো নানা অকথ্যে স্পৃষ্ট – নিদারুণ নবারুণ কোনো কোনো অভিঘাতে...